Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

দারিদ্র্য বিমোচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প (বতর্মান নাম আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প) গ্রহণ করা হয় ২০০৯ সালে। উক্ত প্রকল্পের কার্যক্রমকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায়ে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা, প্রতিটি শেয়ারের মূল্যমান ১০০ টাকা। ব্যাংকের ৫১% শেয়ারের মালিক সরকার এবং ৪৯% শেয়ারের মালিক সমিতি সমূহ। ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ড এর সদস্য সংখ্যা ১৫ জন, তম্মধ্যে সরকার কর্তৃক নির্বাচিত ৮ জন এবং প্রতি প্রশাসনিক বিভাগ হতে সমিতি কর্তৃক নির্বাচিত ১ জন। ব্যাংকের মূললক্ষ্য দেশের দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদেরকে নিয়ে সমিতি করে সমিতির তহবিল গঠন, সদস্যদের সঞ্চয় প্রবনতা বৃদ্ধি, দরিদ্র জনগণের দারিদ্র্যতা বিমোচন, নারীদেরকে আয় বধর্ক কাজে নিয়োজিত করেআর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করা , অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবংনারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি, সমিতি ও সদস্যদের সঞ্চয় ও অর্জিত সম্পদের লেনদেন ও রক্ষণাবেক্ষণ, ঋণ ও অগ্রিম প্রদান ইত্যাদি কার্যাদি সম্পাদনের মাধ্যমে দেশ থেকে দারিদ্যতা বিমোচন করা। নারীদের ক্ষমতায়ন এবং তাদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে প্রতিটি সমিতিতে ৬০ জন সদস্যের মধ্যে ৪০ জন মহিলা সদস্য রয়েছে। ব্যাংক সমিতি সমূহের এসএনডি হিসাব, সদস্যদের সঞ্চয়ী আমানত হিসাব, মাসিক ডিপোজিট হিসাব, স্কুল ব্যাংকিং হিসাব ইত্যাদি পরিচালনা করছে। সমিতির সদস্যের কৃষি পণ্য যাতে কম মূল্যে বিক্রি করতে না হয় তার জন্য স্বল্প সেবা মূলে ঋণ প্রদানসহ অন্যন্য বিভিন্ন উৎপাদমূখি খাতে স্বল্প সেবা মূল্যে ঋণ প্রদান করে থাকে। ব্যাংক ২০৩ জন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও স্বল্প সেবা মূল্যে ঋণ প্রদান করছে। ব্যাংক সদস্যগণের উন্নয়নকল্পে নতুন নতুন খাতে ঋণ প্রদান করছে।

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন অনুযায়ী প্রকল্পের আওতায় ৩০/০৬/২০১৬ তারিখের পূর্বে গঠিত ৮১ টি সমিতির দায় ও সম্পদ ইতোমধ্যে ব্যাংকে স্থানান্তরিত হয়েছে এবং পরবর্তীতে গঠিত সমিতি সমুহের মধ্যে তহবিল গঠণ শেষে পর্যায়ক্রম ব্যাংকে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৮১ টি গ্রাম সমিতি ৪৩১২ জন সদস্য এবং তহবিলসহ ব্যাংকে স্থানান্তরিত হয়েছে। প্রকল্প মেয়াদ আগামী জুন, ২০২০ সালে শেষ হলে বাকী সমিতি সমূহ ব্যাংকে স্থানান্তরিত হবে। প্রকল্প হতে সকল সমিতি স্থানান্তরের পর মোট সমিতি সংখ্যা হবে ১৬৬ টি এবং সদস্য সংখ্যা হবে প্রায় ৭৯২০ জন। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ সমিতি সমুহ পরিচালিত হচ্ছে।

সমিতি সমূহের সদস্যদের আর্থিক সেবা প্রদানের  উপজেলা সদরে ব্যাংকের নিজস্ব ভবনে শাখা স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে মাঠ কর্মী কর্মরত রয়েছে। ব্যাংক উহার নিজস্ব অনলাইন ব্যাংকিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে সদস্যদের আর্থিক সেবা প্রদান করছে। আর্থিকসেবা সদস্যদের কাছে আরো সহজলভ্য করার জন্য চালু করা হয়েছে ব্যাংকের নিজস্ব ডিজিটাল আর্থিক সেবা ‘‘পল্লীলেনদেন’’। প্রতিটি সমিতিতে একজন করে সদস্যকে লেনদেন ম্যানেজার (এজেন্ট) নিয়োগ করা হচ্ছে যারা গ্রামে বসেই সদস্যদের অর্থ লেনদেন করছেন। এ সেবার মাধ্যমে একদিকে লেনদেন ম্যানেজারগনের অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, সমিতির সদস্যগণের প্রবাসে থাকা তাদের আত্নীয় স্বজনদের প্রেরীত রেমিটেন্স পল্লীলেনদেন ম্যানেজারগনের মাধ্যমে এলাকা থেকে উত্তোলণ করতে পারবেন। তা‘ছাড়া এ সেবার মাধ্যমে যাবতীয় বিল প্রদান ও সরকার কর্তৃক প্রদেয় বিভিন্ন ভাতাদি উত্তোলণ করা যাবে। সদস্যগণকে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য উপজেলা সদরে অবস্থিত শাখায় আসতে হচ্ছে না। ফলে সদস্যদের শ্রম ও ব্যয় সাশ্রয় হচ্ছে। সদস্যগণ তাদের নিজস্ব মোবাইলের মাধ্যমে যাবতীয় ব্যাংকিং কাযর্ক্রম সম্পাদন করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ সেবাটির মাধ্যমে সদস্যগণ ঘরে বসেই নিজস্ব মোবাইলের মাধ্যমে যাবতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারবেন। সমিতির সদস্যগণের উপৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করণের নিমিত্তে ব্যাংক অনলাইন ই-কমার্স  সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে। এ সিস্টেমে সদস্যগণের উৎপাদিত পণ্য যথাযথ মূল্যে বিক্রি করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণের সেবামূল্য মাত্র ৮%  এবংএসএমই ঋণের সেবামূল্য মাত্র ৫%। গ্রাম সমিতির সদস্য তথা ব্যাংকের গ্রাহকগণ অত্যন্ত দরিদ্র শ্রেণীর। এসকল সদস্যগণ তাঁদের বাড়িতে আয় বধর্ক কৃষিজ খামার স্থাপন করে আয়বৃদ্ধি পূর্বক দারিদ্র্যতা বিমোচনে সচেষ্ট আছেন। পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, সদস্যদের ৩৩% গবাদি প্রানী পালন, ২১% সদস্য হাঁস-মুরগী পালন, ১১% সদস্য মৎস্য চাষ ও ১২% সদস্য কৃষি খামার স্থাপনে অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন।

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক উপজেলার দরিদ্র জনগণের দারিদ্র্যতা বিমোচনের এগিয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের গুরুত্বপূণ ভূমিকা পালন করছে।